ষষ্ঠ শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় | Class 6 poribesh chapter 1 question answer | পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরতা

ষষ্ঠ শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর, Class 6 poribesh chapter 1 question answer, পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, class 6 poribesh o bigyan

আজকের টিউটোরিয়ালে আমরা class 6 poribesh chapter 1 question answer নিয়ে তোমাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি। Wbbse এর class 6 poribesh o bigyan বই এর প্রথম অধ্যায়ে ” পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ” নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

class 6 poribesh o bigyan বই এর প্রথম অধ্যায় ” পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ” ১ পাতা থেকে ২০ পাতা পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে। আজকে এই অধ্যায়ের class 6 poribesh chapter 1 question answer গুলো নিম্নে তুলে ধরা হল –

ষষ্ঠ শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 6 poribesh chapter 1 question answer | পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরতা

প্রথম অধ্যায়:- পরিবেশ ও জীবজগতের পারস্পরিক নির্ভরতা

ষষ্ঠ শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞান

1. একটি বাক্যে উত্তর দাও?

প্রশ্নঃ – প্রাণী থেকে পায় এমন খাবারের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ – গরু বা ছাগলের দুধ অথবা মুরগির মাংস ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ – গাজরের কোন অংশ আমরা খাবার হিসেবে গ্রহণ করি?

উত্তরঃ – গাজরের মূল আমরা খাবার হিসেবে গ্রহণ করি।

প্রশ্নঃ – আদার কোন অংশ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি?

উত্তরঃ – আদার কান্ড আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি।

প্রশ্নঃ – চালতার কোন অংশ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি?

উত্তরঃ – চালতার বৃতি আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি।

প্রশ্নঃ – কুমড়োর কোন অংশ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি?

উত্তরঃ – কুমড়োর ফল, ফুল ও কান্ড আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি।

প্রশ্নঃ – গাছে বাস করে কিন্তু বাসা বানাতে পারেনা এমন প্রাণীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ – বাদুড়।

প্রশ্নঃ – লাল পিঁপড়ে কিভাবে বাসা বানায়?

উত্তরঃ – লাল পিঁপড়ে যেকোনো চওড়া বা গোল পাতাওয়ালা গাছের পাতা মুড়ে সেগুলো কে জোড়া লাগিয়ে বাসা বানায়।

প্রশ্নঃ – কোন গাছের কোন অংশ দিয়ে হাত পাখা তৈরি হয়?

উত্তরঃ – তাল গাছের পাতা দিয়ে হাত পাখা তৈরি হয়

প্রশ্নঃ – তন্তু কাকে বলে?

উত্তরঃ – সুতো যে সরু সরু সূক্ষ্ম অংশ দিয়ে গঠিত তাকে তন্তু বলে।কাপড় → সুতো → তন্তু

প্রশ্নঃ – তন্তু দিয়ে কি তৈরি হয়?

উত্তরঃ – তন্তু দিয়ে দড়ি তৈরি হয়।

প্রশ্নঃ – তুলো গাছ এর আরেক নাম কি?উত্তরঃ – কার্পাস।

প্রশ্নঃ – সুতির জামা কাপড় কি দিয়ে তৈরি?

উত্তরঃ – তন্তু দিয়ে ।

প্রশ্নঃ – কোন কোন গাছ থেকে তন্তু পাওয়া যায়?

উত্তরঃ – শিমুল, কার্পাস, পাট, নারকোল ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ – রজন কোন গাছ থেকে পাওয়া যায় ? এর কাজ কি?

উত্তরঃ – রজন পাওয়া যায় পাইন বা শাল এর মত গাছ থেকে।কাঠ পালিশ করতে রজন ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ – রবার পাওয়া যায় কোন গাছ থেকে? এর কাজ কি?

উত্তরঃ – রবার পাওয়া যায় রবার গাছ থেকে।রাবার দিয়ে গাড়ির টায়ার, পেন্সিলের দাগ মোছার ইরেজার ইত্যাদি তৈরি করা হয়।

প্রশ্নঃ – পেন্সিলের দাগ মোছার ইরেজার কি দিয়ে তৈরি করা হয়?

উত্তরঃ – রবার দিয়ে।

প্রশ্নঃ – কুইনাইন কি থেকে পাওয়া যায়?উত্তরঃ – সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে।

প্রশ্নঃ – ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ কি থেকে তৈরি হয়?

উত্তরঃ – ম্যালেরিয়া রোগের ওষুধ তৈরি হয় কুইনাইন থেকে। কুইনাইন পাওয়া যায় সিঙ্কোনা গাছের ছাল থেকে।

প্রশ্নঃ – গাছেরা খাবার তৈরি সময় কোন গ্যাস গ্রহণ করে এবং কোন গ্যাস ত্যাগ করে?

উত্তরঃ – গাছেরা খাবার তৈরীর সময় কার্বণ-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে।

প্রশ্নঃ – পরাগ মিলন কাকে বলে?

উত্তরঃ – প্রাকৃতিক ভাবে কিংবা কোন পতঙ্গের গায়ে লেগে ফুলের পরাগরেণু যখন এক ফুল থেকে আরেক ফুলে এসে পড়ে, তখন সেই প্রক্রিয়াকে পরাগমিলন বলে।

প্রশ্নঃ – মাংসাশী প্রাণী কাকে বলে?

উত্তরঃ – যেসব প্রাণীরা অন্য প্রাণী দের খায় তাদের মাংসাশী প্রাণী বলে ।যেমন বাঘ, সিংহ ইত্যাদি ।

প্রশ্নঃ – তৃণভোজী প্রাণী কাকে বলে?

উত্তরঃ – যেসব প্রাণী লতাপাতার ঘাস ফুল ফল ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে তাদের তৃণভোজী প্রাণী বলে। যেমন হরিণ ছাগল গরু ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ – পরজীবী প্রাণী কাকে বলে?

উত্তরঃ – যেসব প্রাণীরা অন্য প্রাণীদের ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে তাদের পরজীবী বলে । যেমন উকুন।

প্রশ্নঃ – একটি বহিঃ পরজীবীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ – উকুন একটি বহিঃ পরজীবী।

প্রশ্নঃ – একটি অন্ত পরজীবীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ – কৃমি একটি অন্তঃপরজীবি।

প্রশ্নঃ – যক্ষার জীবাণু কোন অঙ্গে বাসা বাঁধে?

উত্তরঃ – যক্ষার জীবাণু ফুসফুস , হাড় ইত্যাদি অঙ্গে বাসা বাঁধে।

প্রশ্নঃ – ম্যালেরিয়ার জীবাণু কোন অঙ্গে বাসা বাঁধে?

উত্তরঃ – ম্যালেরিয়ার জীবাণু যকৃত ও লোহিত রক্ত কণিকায় বাসা বাঁধে।

প্রশ্নঃ – আমাশয়ের জীবাণু কোন অঙ্গে বাসা বাঁধে?

উত্তরঃ – আমাশয়ের জীবাণু অন্ত্রে বাসা বাঁধে।

প্রশ্নঃ – সিল্ক কোথা থেকে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ – সিল্ক পাওয়া যায় রেশম মথ থেকে।

প্রশ্নঃ – কড হাঙ্গরের যকৃতের তেলে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?

উত্তরঃ – ভিটামিন A ও D পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ – পরিবেশ পরিষ্কার রাখে এমন দুটি প্রাণীর নাম লেখ।

উত্তরঃ – শকুন, কাক ইত্যাদি।

2. সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর

প্রশ্নঃ আমরা খাবারেরজন্য প্রাণীদের ওপর কীভাবে নির্ভর করি ?

উত্তর: আমরা গোরু এহিষের থেকে দুধ পাই। হাঁস, মুরগির থেকে ডিম পাই । পাঁঠা, মুরগির থেকে মাংস পাই । এইভাবে আমরা খাবারের জন্য প্রাণীদের ওপর নির্ভর করি।

প্রশ্নঃ প্রাণীরা খাদ্যের জন্য কীভাবে গাছের ওপর নির্ভরশীল ?

উত্তর: গোরু, ছাগল, হরিণ প্রভৃতি তৃণভোজী প্রাণীরা সরাসরি উদ্ভিদকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। আবার বাঘ, সিংহ প্রভৃতি মাংসাশী প্রাণীরা এই সকল তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এইভাবে অন্যান্য প্রাণীরা খাদ্যের জন্য গাছের ওপর সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নির্ভর করে।

প্রশ্নঃ পাখিরা কীভাবে গাছের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর: পাখিরা খাবার হিসেবে গাছের ফল, গাছের গায়ে থাকা পোকা-মাকড় প্রভৃতি খায় । কাক, চড়ুই, বাবুই প্রভৃতি পাখি গাছের পাতা, শুকনো ডালপালা দিয়ে গাছের ডালে বাসা তৈরি করে। আবার কোনো কোনো পাখি, যেমন— প্যাচা, কাঠঠোকরা প্রভৃতি গাছের কোটরে আশ্রয় নেয় ।

প্রশ্নঃ খাবার ছাড়া আর কোন বিষয়ের জন্য আমরা গাছের ওপর নির্ভর করি?

উত্তর: গাছের কাঠ থেকে ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র প্রভৃতি বানানো হয় । গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে ওষুধ তৈরি হয়। এ ছাড়াও গাছ থেকে প্রাপ্ত তন্তুর সাহায্যে জামাকাপড়, বস্তা, দড়ি প্রভৃতি তৈরি হয় ।

প্রশ্নঃ তন্তু আমরা কোথা থেকে পাই?

উত্তর: কিছু তন্তু আমরা পাই গাছ থেকে, কিছু তন্তু পাই প্রাণীদেহ থেকে। সুতির তন্তু আমরা কার্পাস গাছ থেকে পাই | আবার রেশম তন্তু আমরা পাই রেশম মথ থেকে।

প্রশ্নঃ গাছ কীভাবে পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখে ?

উত্তর: গাছ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে খাদ্য তৈরির সময় পরিবেশ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে এবং পরিবেশে অক্সিজেন ত্যাগ করে। এইভাবে গাছ পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখে।

প্রশ্নঃ বাদুড় কীভাবে বীজ ছড়াতে সাহায্য করে?

উত্তর: বাদুড় ফল খায় কিন্তু বীজ হজম করতে পারে না। তাই বাদুড় যখন মলত্যাগ করে তখন বাদুড়ের মলের সাথে বীজগুলি বেরিয়ে এসে মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে নতুন চারাগাছ জন্মায়।

প্রশ্নঃ ধানখেতে অ্যাজোলা চাষ করা হয় কেন ?

উত্তর: অ্যাজোলা হল একপ্রকার পানা। এদের পাতায় একধরনের ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে যারা পরিবেশের নাইট্রোজেনকে শোষণ করে। এই শোষিত নাইট্রোজেন জমিতে সারের কাজ করে। তাই ধানখেতে অ্যাজোলা চাষ করা হয়।

প্রশ্নঃ মিথোজীবিতা বলতে কী বোঝ ?

উত্তর: প্রকৃতিতে যদি দুটি ভিন্ন প্রকৃতির জীব পরস্পরকে অবলম্বন করে বেঁচে থাকে, তবে তাদের মধ্যেকার সম্পর্ককে মিথোজীবিতা বলে।

প্রশ্নঃ সাগরকুসুম ও ক্লাউন মাছের মিথোজীবী সম্পর্ক কীরূপ?

উত্তর: ক্লাউন মাছ থাকে সাগরকুসুমের সঙ্গে। সাগরকুসুমের শত্রু, যেমন—বাটারফ্লাই মাছকে তাড়িয়ে দেয় এই ক্লাউন মাছ । আবার অনেক সময় ক্লাউন মাছকে তাড়া করে আসা প্রাণীরা শিকার হয় সাগরকুসুমের। এ ছাড়া সাগরকুসুমের খাবারের পড়ে থাকা অংশের ভাগ পায় ক্লাউন মাছ।

প্রশ্নঃ গো-বক ও গোরুর মিথোজীবিতা আলোচনা করো।

উত্তর: গো-বক গোরুর গায়ে বসা পোকাদের খেয়ে গোরুকে আরাম দেয় । অনেক সময় গোরু হাঁটার সময় ঘাসের মধ্যে থেকে নানা পোকামাকড় উড়ে যায়, যা গো-বকের খাদ্য। এই ভাবে গো-বক যেমন খাবার পায় তেমনই গোরুও পোকার থেকে মুক্তি পায় ।

প্রশ্নঃ সাগরকুসুম ও সন্ন্যাসী কাঁকড়ার মিথোজীবিতা লেখো।

উত্তর: সাগরকুসুম খোলক সমেত সন্ন্যাসী কাঁকড়াকে ঢেকে রাখে এবং তার বিষাক্ত কোণযুক্ত টেন্ট্যাকলের সাহায্যে তাকে রক্ষা করে। অন্যদিকে, সাগরকুসুম নিজে কোথাও যেতে পারে না তাই সন্ন্যাসী কাঁকড়া খাবারের খোঁজে গেলে সাগরকুসুমও সেই খাবারের ভাগ পায়।

প্রশ্নঃ পিঁপড়ে ও জাব পোকার মধ্যে মিথোজীবিতা আলোচনা করো।

উত্তর: জাব পোকারা গাছের শর্করা সমৃদ্ধ রস শোষণ করে শর্করা সমৃদ্ধ বর্জ্য ত্যাগ করে। এই বর্জের নাম হানিডিউ । পিঁপড়েদের খুবই উপাদেয় খাবার হল এই হানিডিউ । খাবার পাওয়ার জন্য পিঁপড়েরা জাব পোকাদের লালনপালন করে, শত্রুর হাত থেকে বাঁচায়। এমনকি জাব পোকাদের খাবার ফুরিয়ে গেলে তাদের এক গাছ থেকে অন্য গাছে নিয়েও যায় ।

প্রশ্নঃ পাউরুটির গায়ে যে ফুটোগুলি থাকে সেগুলি কেন তৈরি হয় ?

উত্তর: পাউরুটি তৈরি করতে লাগে ময়দা বা আটা, জল আর ঈস্ট । ময়দা বা আটায় থাকা শর্করাকে ঈস্ট ভেঙে ফেলে এবং তৈরি করে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অ্যালকোহল | ময়দা বা আটার মিশ্রণটিকে ফুলে উঠতে। সাহায্য করে এই কার্বন ডাইঅক্সাইড। পরে ওই মিশ্রণ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বেরিয়ে যায় তখন পাউরুটির গায়ে ফুটো তৈরি হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ স্ট্রেপটোমাইসেস থেকে পাওয়া দুটি জীবাণুনাশক ওষুধের নাম লেখো ।

উত্তর: স্ট্রেপটোমাইসেস থেকে পাওয়া দুটি জীবাণুনাশক ওষুধ হলো স্ট্রেপটোমাইসিন এবং এরিথ্রোমাইসিন

আশাকরি class 6 poribesh o bigyan বই এর Class 6 poribesh chapter 1 question answer গুলো পরে তোমরা তোমাদের পরীক্ষায় ভালো ফল করতে পারবে।

Leave a Comment